রাতের আঁধারে অন্যের ঘেরে জাল ফেলে মাছ ধরছিলেন পাঁচ ব্যক্তি। পাশের ঘেরে পাহারায় থাকা ব্যক্তি টের পেয়ে ঘেরের মালিককে জানান। তিনি লোকজন নিয়ে এসে ধাওয়া দিলে তাঁরা পাশের একটি বাড়িতে আশ্রয় নেন। পরে গণপিটুনি থেকে বাঁচতে তাঁদের মধ্যে একজন জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯-এ ফোন দেন। পরে পুলিশ এসে তাঁদের উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
চুরি করতে গিয়ে ধরা পড়ে ৯৯৯–এ ফোন দিয়ে বললেন, ‘খুব বিপদে আছি’
গতকাল রোববার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার পায়রাডাঙ্গা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। চুরির মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে ওই পাঁচজনকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
কারাগারে যাওয়া ওই পাঁচ ব্যক্তি হলেন সাতক্ষীরা সদর উপজেলার পায়রাডাঙ্গা গ্রামের সাইফুল ইসলাম, মোস্তাকিন হোসেন, মিজানুর রহমান, হুসাইন বাবু ও শাহারুল ইসলাম।
পায়রাডাঙ্গা গ্রামের ঘেরমালিক শরিফুল ইসলাম বলেন, গ্রামের দক্ষিণ বিলে তাঁর পাঁচ বিঘার একটি মাছের ঘের আছে। রোববার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে পাঁচ ব্যক্তি ওই ঘের থেকে মাছ ধরছিলেন। পাশের ঘেরে পাহারা দেওয়া আবদুল্লাহ নামের একজন দেখতে পেয়ে তাঁকে মুঠোফোনে জানান। তাৎক্ষণিকভাবে তিনি লোকজন নিয়ে চোর ধরার চেষ্টা করলে তাঁরা দৌড়ে একটি বাড়িতে আশ্রয় নেন। তাঁদের মধ্যে একজন ৯৯৯ নম্বরে ফোন দিয়ে সাহায্য চান। ঘটনার কিছুক্ষণের মধ্যে পুলিশ এসে তাঁদের উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
চুরি করতে গিয়ে ধরা পড়ে ৯৯৯–এ ফোন দিয়ে বললেন, ‘খুব বিপদে আছি’
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু জেহাদ ফখরুল আলম খান বলেন, গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের মধ্যে একজন ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে ‘খুব বিপদে আছি’ বলে সাহায্য চান। পরে সদর থানার পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে তাঁদের উদ্ধার করে। পরে জানা যায়, তাঁরা ঘেরে মাছ চুরি করতে গিয়ে ধরা পড়ে স্থানীয় ব্যক্তিদের গণপিটুনি থেকে বাঁচতে ৯৯৯-এ ফোন করে সাহায্য চেয়েছিলেন।
চুরি করতে গিয়ে ধরা পড়ে ৯৯৯–এ ফোন দিয়ে বললেন, ‘খুব বিপদে আছি’
ওসি আবু জেহাদ ফখরুল আলম খান আরও বলেন, এ ঘটনায় ঘেরের মালিক শরিফুল ইসলাম বাদী হয়ে থানায় মামলা করেছেন। ওই মামলায় তাঁদের পাঁচজনকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আজ আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
0 Comments